[২:৭৮] (আল্লাহ বলেন) তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া আল্লাহর কিতাবের (ক্বুরআনের) কিছুই জানে না। তাদের কাছে অনুমান বা কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই। ছূরা বাক্বারা আয়াত ৭৮।
.
[৫৩:২৮] মানুষ কেবল অনুমানের অনুসররণ করে। অথচ সত্যের ব্যপারে অনুমান মোটেই ফলপ্রসু নয়। ছূরা নজম আয়াত ২৮।
.
[৬:১১৬] তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে, এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে। ছূরা আন’আম আয়াত ১১৬।
.
[১০:৩৬] বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোনো কাজেই আসে না। তারা যা কিছু করে সে ব্যাপারে আল্লাহ ভালো করেই জানেন। ছূরা ইঊনুছ আয়াত ৩৬।
.
[৬:১১৪] (আল্লাহ বলেন) মানুষ শুধু আন্দাজ ও অনুমান করে কথা বলে। ছূরা আন’আম আয়াত ১১৪। (যারা কোনো দলীল ছাড়াই শুধু অনুমান ভিত্তিক কথা বলে আল্লাহ তাদেরকে লা’নত/অভিসাপ দিচ্ছেন এই ভাবে-
.
[৫১:১০-১১] (আল্লাহ বলেন) অনুমানকারীরা ধ্বংস হোক, যারা উদাসীন, গোমরা/ভ্রান্ত। ছূরা জারিয়াত আয়াত ১১।
.
[৪:৫২]…(আল্লাহ রছূলকে বললেন) আল্লাহ যার উপর লা’নত করেন তুমি তার কোনো সাহায্যকারী খুঁজে পাবে না। ছূরা নিছা আয়াত ৫২।
.
[৪:১৫৭] (ইছার ক্ষেত্রেও তারা সন্দেহের মাঝে পড়েছিলো, শুধুমাত্র অনুমান করা ছাড়া তারা এ বিষয়ের কোনো খবরই রাখতো না…)। ছূরা নিছা আয়াত ১৫৭।
.
[৬:১৪৮] (আল্লাহ রছূলকে বললেন)…আপনি বলুনঃ তোমাদের কাছে কি কোনো প্রমাণ আছে যা আমাদেরকে দেখাতে পারো। তোমরা তো শুধুমাত্র আন্দাজের অনুসরণ করো এবং তোমরা শুধু অনুমান করে কথা বল। ছূরা আ’আম আয়াত ১৪৮।
.
[৪৩:২০] তারা বলে, রহমান আল্লাহ ইচছা না করলে (আবাদনাহুম) আমরা ওদের এবাদাত করতাম না। (আল্লাহ বলেন) এ বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। তারা কেবল অনুমানে কথা বলে। ছূরা যুখরুফ আয়াত ২০।
.
[৪৫:২৪] (নাস্তিক বা কাফেরদেরও কোনো জ্ঞান নাই। তারাও অনুমান করে কথা বলে)। ছূরা জাছিয়া আয়াত ২৪।
.
[৫৩:২৩] (আল্লাহ বলেন)…তারা অনুমান এবং প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে। অথচ তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে পথ, নির্দেশ এসেছে।
.
[১০:৬৬] (আল্লাহ বলেন)…এরা নিজেরই কল্পনার পেছনে পড়ে রয়েছে এবং এছাড়া আর কিছু নয় যে, এরা বুদ্ধি খাটাচ্ছে না।
.
[৩৭:১৫১] (মনগড়া কথা বলাঃ ইউনূছ নবীর সম্প্রদায় আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করায় আল্লাহ বললেন যে) “জেনে রাখো তারা অবশ্যই তাদের মনগড়া কথা বলে”। ছূরা ছাফফাত আয়াত ১৫১। (বর্তমানেও বহু মানুষ মনগড়া কথা দ্বারা ধর্মের বিধান দেয়)।
.
[১৮:২২] (ছূরা কাহাফ এর ২২ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, আছহাবে কাহাফের ব্যাপারেও অজ্ঞাত বিষয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে তারা রছূলের সাথে অনুমান করে অনেক কিছুই বলেছিলো। আল্লাহ রছূলকে তাদের সাথে কথাবার্তা বলতে নিষেধ করেছেন। অনুমানের ব্যাপারে তারা রছূলকেও ছার দেয়নি। বর্তমানের হাদীছেও শোনা কথা ও অনুমান করে অনেক বিষয় লেখা হয়েছে যা ক্বুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক। ক্বুরআন ছাড়া আর সবকিছুই অজ্ঞাত। পূর্বের ইতিহাস সঠিকভাবে কেউ বলতে পারবে না)