ভাবতে বসে (আগস্ট ২০১৯)

ট্রাম্প, মোদি, পুতিন, নেতানিয়াহু, কিম, শি জিনপিং বা সুচিকে কেউ কাফির বললে সে তাকফিরি হবে কি? বাস্তবে এরা যদি কাফিরই হয়, তাহলে সেসব দেশের মুসলিমদের ওপর তাদের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে কি? কোন দলিলের ভিত্তিতে মুসলিমদের ওপর তাদের আনুগত্য অপরিহার্য করা হয়? বিধানের দিক থেকে জ্ঞানীরা স্বঘোষিত মুসলিম আর স্বঘোষিত কাফিরদের মধ্যে কী পার্থক্য করে থাকে?

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দীনি বিদ্যাপীঠগুলোতে যদি দেশের জন্মদিন পালন করা হয়, তাহলে ব্যক্তির জন্মদিন বা বিদআতিদের মতো রাসুলুল্লাহ সা.-এর জন্মদিন পালনের বিরোধিতা কেন করা হয়? দ্বিতীয়টি বিদআত হলে প্রথমটা সুন্নাহ বা মুবাহের মতো ঘটা করে পালন করা হয় কেন? যদি অপারগতার অজুহাত দেওয়া হয়, তাহলে জানা উচিত, কোন ধরনের অপারগতা কোন সব নিষিদ্ধ জিনিসকে বৈধতা দান করে?

যারা শাসক ছাড়া কিতাল নেই বলে বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে, তারাই আবার কোন যুক্তিতে কাশ্মীরের কিতাল নিয়ে উস্কানি দিচ্ছে? কিসের ভিত্তিতে কাশ্মীরের কিতালকে সমর্থন করছে? কাশ্মীরিরা কি মাননীয় ও মহামান্য মোদিজির ছায়াতলে কিতাল করছে? বাগি ও খারেজিদের সমর্থন করার কী যুক্তি তাদের আছে?

তাগুতের হিংস্র নখর থেকে প্রতিষ্ঠান বাঁচানোর জন্য যদি কিতালপন্থীদের বিরোধিতা করা হয়, তাহলে দাজ্জালের ভয়াবহ আঘাত থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য কি মাহদির বিরোধিতা করা হবে না? তখনো কি নিরাপত্তা হারানোর ভয় ও অপারগতা কাজ করবে না?

নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার খাতিরে যদি কিতালের বিরোধিতা করা যায়, তাহলে কিতালপন্থীরা তাদের আদর্শিক অস্তিত্ব রক্ষার খাতিরে কেন ক্ষেত্রবিশেষ আমাদের বিরোধিতা করতে পারবে না? আমি করলে আরাম আর অন্য করলে হারাম – একেই তো বোধ হয় বলে ডাবল স্টান্ডার্ড।


Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.