যেকোন পরিস্থিতি অতি দ্রুত পাল্টে যেতে পারে। সিরিয়ার এখন যে অবস্থা, কয়েকবছর আগেও সেটা হয়তো মানুষ কল্পনাও করেনি। অথচ যেন চোখের পলকে একটা দেশ ধ্বংস হয়ে গেল। গাদ্দাফির লিবিয়া, টেনে হিঁচড়ে তাকে পিটিয়ে, গুলি করে হত্যার দৃশ্য মনে করিয়ে দেয় আজকের যে দিনটা আপনার, কালকে সেটা আপনার নাও হতে পারে। পাল্টে যেতে পারে অবিশ্বাস্যভাবে।
তাতাররা যখন বিশ্বব্যাপী আগ্রাসন চালাচ্ছিলো মানুষ কখনো বিশ্বাস করতে পারেনি এই জাতিকে হারানো সম্ভব। তাদের হিংস্রতা, ভয়াবহ প্রতাপ, হত্যাযজ্ঞ এতটা ভয়াবহ ছিলো। অথচ তারা পরাজিত হয়েছে, যাদের কাছে পরাজিত হয়েছিলো তাদের ধর্ম, সংস্কৃতিই শেষে তারা গ্রহণ করেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে যা বিরল ঘটনা। এটা কেউ কখনো কল্পনাতেও কী ভেবেছিলো! সুবহানআল্লাহ!
নবীদের ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখবেন পূর্ববর্তী সব নবীদেরকেও আল্লাহ এরকম পরিস্থিতিতে ফেলেছেন। যে ভাইয়েরা ইউসুফ (আঃ) কে কুয়ায় নিক্ষেপ করেছিলো তিনিই পরে মিশরের শাসনভার পেলেন। যে মক্কায় সালাতে দাঁড়ালে তাঁর কাঁধে উটের নাড়িভুঁড়ি তুলে দেওয়া হত, সেই প্রিয় নবীজিই একদিন বিজয়ীর বেশে মক্কায় প্রবেশ করেছেন।
সুতরাং যেকোন পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যেতে পারে। চোখের পলকে যালিমের দম্ভ ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে পারে। নিমিষেই হাতের চাবুক যালিমের হাত থেকে মাযলুমের হাতে চলে যেতে পারে। প্রিয় শাইখ আহমাদ মুসা জিবরীল বলেন,
“পাখি পিঁপড়াদের খায়, আবার সেই পাখিই মারা গিয়ে পিঁপড়াদের খাদ্যে পরিণত হয়, পরিস্থিতি অতি দ্রুত পরিবর্তন হয়; চিন্তা করবেন না। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।”.আমরা তাই আল্লাহর উপরই ভরশা করি। সমস্ত ক্ষমতা যে তাঁরই হাতে।