দারিদ্রতা, ধার্মিকতা এবং বিবাহ

একজন দরিদ্র ধার্মিক লোক একজন পিতাকে কে প্রস্তাব দিল তার মেয়েকে বিয়ের জন্য । কিন্তু পিতা তা প্রত্যাখ্যান করল কারন যুবকটির ব্যাংক একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই। অতপর তার পিতা এমন একজন লোকের প্রস্তাবব গ্রহন করল যে কিনা ধনী কিন্তু মুসলিম হিসাবে প্রাক্টিসিং না । তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হল কিভাবে তুমি এমন ব্যক্তিকে গ্রহন করলে ? উত্তরে সে বলল “আল্লাহ হল পথপ্রদর্শক, তিনি ইনশাল্লাহ তাকে (ধনী ব্যক্তি) পথ দেখাবেন । “

কিন্তু সে কি জানেনা যে, পথপ্রদর্শক (“আল হাদি”)- যিনি কিনা ধনী ব্যক্তিকে পথ দেখাবেন তিনিই “আর রাজ্জাক” – রিযিকদাতা যিনি কিনা দরিদ্র ব্যক্তিটিকে রিযিক দান করবেন ?

আল্লাহ তায়ালা কুরানে বলেন – “তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত , তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। (সুরা নুরঃ ৩২)

দুঃখের বিষয় আমরা এমন এক সময়ে আছি যেখানে পদমর্যাদা এবং সম্পদ, দ্বীন এবং চারিত্রিক মাধুর্যতার উপরে স্থান পেয়েছে। আমরা এমন সময়ে বাস করছি যেখানে পিতামাতারা মনে করছেন সম্পদ ই হল তার মেয়ের সুখে থাকার মুলরহস্য ।

তারা ভুলে যান একজন ন্যায়পরায়ণ ধার্মিক স্বামী তার মেয়ের জন্য
জান্নাতের সহায়ক এবং এইটাই হল তার জন্য অন্তিম সুখ । তারা ভুলে যাই এমন একজন ব্যক্তির সাথে তাদের মেয়েকে বিয়ে দেয়া এইটা নিশ্চিত করে যে এই স্বামী তাকে আল্লাহ্র জন্য সুখী করবে । যদি এই ব্যক্তির আল্লাহ্র সাথে সুদৃঢ় সম্পর্ক থাকে সে আল্লাহ্র জন্যই তার মেয়ের সাথে ভাল আচরন করবে , সে তাকে বুঝবে , সম্মান করবে , ভালবাসবে এবং তার প্রতি যত্নশীল হবে ।

আপনি যদি সত্যই আল্লাহকে বিশ্বাস করেন তাহলে আপনার মেয়েকে একজন আন্তরিক ধার্মিক ব্যক্তির হাতে তুলে দিন ।

04 April 2014


One thought on “দারিদ্রতা, ধার্মিকতা এবং বিবাহ

Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.