তথাকথিত বাইবেল বিশ্বাসীদের প্রতি একটি খোলা চিঠি

“মিথ্যা ত্যাগ করে সত্যের দিকে আসো”

সকল সত্যবাদী ও সত্যান্বেষকদের প্রতি, এক মহাসত্যের অনুসারির আবেদন।

জনাব নিবারণ দাস,

বিশপ,ঢাকা মেথিডিস্ট চার্চ,

২৫০/১ দ্বিতীয় কলোনী, মাজার রোড, মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

প্রিয় প্রতিবেশি,

আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নিন।

আপনি ও আমি প্রতিবেশি। আমাদের দৈহিক অবস্থানের মাঝে মাত্র একটি ছ’ইঞ্চি দেয়ালের দুরত্ব। আমারই ৬ ফুট দেয়ালের উপর আরো তিন ফুট ইট গেথে আপনার দেয়াল। যেমন হযরত ঈসা রুহুল্লাহ স: এর আনীত অসম্পন্ন রিসালাতের উপর হয়রত মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ (স)

আল্লাহর দ্বীনের অবশিষ্ট ইট গেঁথে সকল নবীদের আনীত আল্লাহর একমাত্র ধর্মকে পূর্ণ করেছেন।

কি আশ্চর্য মিল দেখুনতো! ভাবুনতো!

প্রথম মানুষ, বাবা হযরত আদম থেকে শেষনবী মুহাম্মাদ সঃ সবাই আল্লাহর রাসুল। তাঁরা সবাই “একমাত্র ধর্মের” প্রবর্তক। সবার একমাত্র ধর্ম ও বাণী, “এক আল্লাহ ব্যতিত কোন উপাস্য নেই।এ ব্যাপারে নবীদের মধ্যে কোন বিরোধ ছিলোনা।

শয়তান মানব সৃষ্টির বিরোধী ছিল। তাই শয়তান মানুষের জাতশত্রু । শয়তানের কাজ মানুষকে ধর্ম, বর্ণ,গোত্র ও রাষ্ট্রে বিভক্ত করা। আল্লাহ তার প্রিয়তম সৃষ্টি মানব জাতীকে তাঁর একমাত্র সত্য সনাতন ধর্মে ঐক্যবদ্ধ করা ও রাখার জন্য তাঁর নবীদের পাঠান।

নবীদের মধ্যে নূহ, ইব্রাহীম,মূসা, ঈসা ও মুহাম্মদ সঃ গণ কে আল্লাহ বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে হযরত ঈসা ও মুহাম্মদ সঃ দু’জন পিঠাপিঠি। হযরত ঈসা বলেছেন,“ আমার পর হযরত মুহাম্মদ সঃ আসবেন”। হযরত মুহাম্মদ সঃ বলেছেন,“ আমার পর হযরত হযরত ঈসা আসবেন”। কেমন মিল দেখেছেন? একে অপরের সম্পূরক!

হযরত ঈসার পর মুহাম্মদ সঃ কেন আসলেন এবং পুনঃ মুহাম্মদ সঃ এর পর ঈসা আঃ কেন আসবেন? তা পত্যেক মানুষের ভাববার বিষয় নিশ্চয়।

আল্লাহর নবীদেও মধ্যে হযরত ইব্রাহীম আল্লাহর প্রিয় বন্ধু “খলিল”। তারই বংশ হতে হযরত মূসা,ঈসা ও মুহাম্মদ সঃ গণ নবীরূপে প্রেরিত হয়েছেন।

হযরত ইব্রাহীম আঃ বেবিলোনিয়ার বর্ণবাদী পৌত্তলিক সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে দেশ ত্যাগ করে আল্লাহর নিদের্শে তাঁর বড় ছেলে হযরত ঈসমাঈল কে নিয়ে মক্কায় বিশ্বমানব সাম্যবাদের কেন্দ্র মক্কা নির্মাণ করেন। হযরত ইব্রাহীম আঃ এর প্রথমা স্ত্রী সারা ঈমানদার হওয়া সত্বেও নারীসুলভ স্বভাবের ফলে জাত্যাভিমানিনী ছিলেন। আল্লাহ সারার অমূলক জাত্যাভিমান দূর করার জন্য সত্বীনের ঘর করান এবং তার পূর্বে তার সত্বীন বিবি হাজেরার গর্ভে ইব্রাহীম আঃ এর প্রথম সন্তান হযরত ঈসমাইল আঃ কে দান করেন। বিবি হাজেরা ও বিবি সারা উভয়ই আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আল্লাহ তার প্রিয় ইব্রাহীম খলিল আঃ দুই পত্নীর সন্তানের দ্বারা দুই পবিত্র নগরী মক্কা ও জেরুজালেমের পত্তন করেন।

হযরত ইব্রাহীমের মৃত্যুর পর মানব জাতীর শত্র তাঁর নাতি ইয়াকুব, যাঁর অপর নাম “ঈসরাইল” তাঁর সন্তানদের মধ্যে ঢুকে পড়ে বর্ণবাদী ইয়াহুদীবাদের জন্ম দেয়।

সর্ব প্রথম শয়তান তাদেও মধ্যে এ ধারণা সৃষ্টি করে যে প্রত্যেক পুরুষের একমাত্র স্ত্রী হতে হবে। যেমন বাবা আদমের এক স্ত্রী ছিল। হযরত ইব্রাহীম সন্তান কামনায় অধীর হয়ে তার স্ত্রীর কথায় সারার দাসী হাজেরার সাথে ব্যভিচার করে ঈসমাইলের জন্ম দেন। কত জঘন্য মিথ্যা কথা!

অথচ বিবি হাজেরা ও বিবি সারার দাসী ছিলেননা। মা হাজেরা মা সারার চেয়েও পরীক্ষীত অসাধারন মহিয়সী নারী ছিলেন। মিসরীয় র্দুবৃত্ত রাজা কতৃক অপহৃত হওয়ার পর বন্দী হয়ে কয়েদ খানায় নিক্ষিপ্ত হলে সেখানে গিয়ে দেখতে পান মিসরীয় র্দুবৃত্ত রাজা কতৃক অপহৃত হয়ে আরেক অপরূপা নারী বন্দি হয়ে আছে। র্দুবৃত্ত রাজা শত চেষ্টা করেও তার সতীত্ব হরণ করতে পারেনি। স্বয়ং আল্লাহ র্দুবৃত্ত রাজার পা মোচড়ে ও প্রসাদে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করে সে মহিয়সীর সতীত্ব রক্ষা করেন।পরে দুর্বৃত্তরা তাকে জেলখানায় নিক্ষেপ করে।

তার পর সারাকে অপহরণ করার পরও আল্লাহ তার খলিল ইব্রাহীম আঃ এর স্ত্রী রূপে উক্ত মহিলার মতো অলৌকিকভাবে সারার সতীত্ব রক্ষা করেন।পরে বিবি সারা ও উক্ত মহিলার মধ্যে বন্দি দশায় নিক্ষিপ্ত হন। বন্দীশালায় আল্লাহতায়ালা তাঁর দুই মহিয়সী দাসী কে একত্রিত করেন। প্রথম মহিয়সী মা হাজেরা, যাঁর সান্নিধ্যে বিবি সারা আশ্রয় ও প্রবোধ পান।

দুবৃত্ত রাজা আযাবে নিপতিত হয়ে উভয় মহিলাকেই মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তখন বিবি সারা অনুনয় করে বিবি হজেরাকে সঙ্গে করে নিয়ে তাঁর স্বামী হযরত ইব্রাহীমকে তাঁকেও বিবাহ করার প্রস্তাব দেন।হযরত ইব্রাহীম সে প্রস্তাব গ্রহন করে মা হাজেরা কে বিবাহ করেন। এভাবে আল্লাহ তাঁর প্রিয় খলিলের ঘরে নারীকুলের দুই মহিয়সী দিকপালকে একত্রিত করেন।

শয়তানের প্ররোচনায় নিপতিত হয়ে ইহুদীরা তাদের পূর্ব পুরুষ হযরত ইব্রাহিমের আদর্শ ত্যাগ করে কাফের ও অভিশপ্ত হয়ে নবুওত ও রিসালাত হতে বহিস্কৃত হয়। তারপর তারা

তারপর ইহুদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মানুষররূপী শয়তান হয়ে মানব জাতির সর্বনাশে লিপ্ত হয়। নবীদের অমান্য করে তারা বহু নবীদের হত্যা করে। ব্যভিচার, সমকামিতা, সুদ ও দাস প্রথা এ ইহুদীরা সর্বপ্রথম পৃথিবীতে চালু করে।

আল­াহর খেলাফত ত্যাগ করে শয়তানের শিষ্যত্ব গ্রহন করে ইহুদীরা যখন মানবতার সকল সীমা লঙ্ঘন করে তখন তাদেও পুনঃ সৎপথে ফেরৎ আনার জন্য আল­াহ দ্বিতীয় আদম হযরত ঈসাকে পিতা ছাড়া মাতৃগর্ভে সৃষ্টি করে পাঠান। হযরত ঈসা আঃ ইহুদী বংশোদ্ভুত ইহুদী ছিলেন না কারন, পিতা থেকে বংশের উৎপত্তি হয়্ মা থেকে নয়। এ ব্যবস্থা আল­াহ এ জন্য করেন য়ে বর্ণ ও গোত্রবাদী ইহুদীরা যাতে বর্ণবাদ ত্যাগ করে পুনঃ এক ও অবিভাজ্য মানব ধর্মে ফেরত আসে।

কিন্তু যে জাতি ও স¤প্রদায় এক্বার আল­াহকে ত্যাগ করে শয়তানকে তাদেও প্রভু ও অভিভাবক বানায়, শয়তান তাদের ফেরত আসার সকল পথ বন্ধ করে দেয়।

ইহুদীদের ব্যাপারেও তাই ঘটলো। তারা হযরত ঈসা রুহুল­াহ কে মেনে সৎপথে ফেরৎ না এসে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে শয়তানের প্ররোচনায় একদল তাঁর পিত্রমাধ্যমহীন জন্মের জন্য তাঁকে জারজ সন্তান হওয়ার অপবাদে প্রত্যাখান করলো।এবং অপর ভাগ তাঁকে আল­াহর সন্তান এবং স্বয়ং ঈশ্বর বা আল­াহই বানিয়ে ফেললো।

ক্ষমতাশালী শক্তিধর ইহুদীরা ঈসা আঃ কে অবৈধ সন্তান ও ধর্মদ্রোহী বলে ক্রুশ বিদ্ধ করে হত্যা করা প্রয়াস নিলে আল­াহ জুডাসনামক একজন বিশ্বাসঘাতক ইহুদীকে হযরত ঈসায রূপান্তরিত করে হযরত ঈসাকে জীবন্ত ও অক্ষত আকাশে উঠিয়ে নিয়ে যানএবং বশ্বাস ঘাতক জুডাসকে শূলী বিদ্ধ করে হত্যা করা হয়। কিছু নির্বোধ ও সরল মনা ইহুদীদের মঝে শয়তান জুডাসকে ঈসা বা ক্রুশবিদ্ধ যীশু রূপে প্রচারিত করে বিশ্বে আজ পর্যন্ত খৃষ্টানধর্ম নামে ইহুদীদেও পাশাপাশি আরেকটি ধর্ম চালু করে মান্ জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছে। হযরত ইব্রাহীম ও হযরত মূসা যেমন ইহূদী ছিলেন না, তদ্রুপহযরত ঈসাও ইহুদী বা খৃষ্টান ছিলেন না । তাঁর একাগ্রচিত্তে আত্মসমর্পকারী বিশ্ব প্রভু আল­াহর দাস ও রাসুল ছিলেন।

পরম ঈশ্বর বা আল­্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসূলও ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসা আঃ গণের ধর্ম ত্যাগকারী ইহুদীরা আদম সৃষ্টিকালে দেয়া শয়তারের চ্যালেঞ্জ অনুযায়ী মানবজাতি সর্বনাশ করার জন্য র্সপপ্রথমআল­াহর নবী ও রাসুরদেও চরিত্র হননের কাজ আরম্ভ করে। তারা সর্ব প্রথ আল­াহর কিতাব তাওরাতকে বিকৃত করে তাতে লিখেঃ

  • নূহ মদ্যপান করে বেহূশ হয়ে উলঙ্গ হয়ে পড়ে থাকতেন।
  • ইব্রাহীম তিথ্যা বলে তাঁর স্ত্রীকে বোন পরিচয় দিয়ে অন্যকে দান করে তার বিনিময়ে মেষ, উট, গর্দভ ও সম্পদ গ্রহন করে।
  • লুত তার দুইকণার সাধে ব্যভিচার করে সন্তান উৎপাদন করেন।
  • ইয়াকুবের বড় ছেলে সৎমায়ের সাথে ব্যভিচার করেন।
  • ঐীহুদা তার পুত্রবধুর সাথে ব্যভিচার করে সন্তান উৎপাদন করেন
  • দাঊদ তার সেনাপতির স্ত্রীর সাথে ব্যভিচার করে হযরত সুলাইমানকে জন্ম দেন।
  • সুলাইমানের পুত্র ভগ্নীর সাথে ব্যভিচর করে।
  • যীশু মেরির অবৈধ সন্তান।

এধরনের অসংখ্য জঘন্য মিথ্যা নিজহাতে লিখে ইহুদীরা তা তাওরা ও বাইবেলে ঢুকিয়ে দেয়। যাতে মানুষ ভাবে নবী ও রাসূলরা যখন মদ্যপান করতেন, পর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচার করতেন, এমন কি আপন কন্যা, মাতা ও ভগ্নীর সাথেও নির্বিচারে ব্যভিচার করতেন, তা হলে সাধারণ মানুয় কেন এসমস্ত পাপ করবেনা?

এজন্য আল­াহ তাঁর দুই নবী দাউদ আঃ ও হযরত ঈসার মুখে ও ভাষায় ইহুদীদেও উপর অভিসম্পত করিয়েছেন। বিশ্বময় যে পাশব যৌনাচার এইডস নামক ঘাতক ব্যাধিতে মানব জাতি ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে,পারিবারিক জীবন বিধ্বস্ত এবং মানব সভ্যতা যে মহা প্রলয়ের মুখোমুখি, এ সবের পেছনে একমাত্র কারণ হলো, ইহুদীরাও আল্লাহ ও তাঁর নবীদের অবাধ্য হয়ে অভিশপ্ত শয়তানের অনুসরণে মানব সমাজে পাপাচার ও ব্যভিচারের প্রচলন।তাও পবিত্র চরিত্রের নবীদের নামে কুৎসা ও মিথ্যা সৃষ্টি করে।

নিবারণ বাবু, পরম ঈশ্বর , বিশ্ব বিধাতার এক ধর্ম, সনাতন ধর্ম। যা আদম, নূহ, ইব্রাহীম , মূসা, ঈসা ও মুহাম্মদ সঃ গণের ধর্ম।ক্বোরআনের পরিভাষায় তাকে “আল ইসলাম” বলা হয়েছে। আপনার ঠাকুর দাদা সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে খৃস্ট ধর্ম গ্রহণ করেছেন। আপনার স্ত্রীকে একদিন জিজ্ঞাসা করে ছিলাম, কোন বা ক’পুরুষ থেকে তিনি খৃষ্টধর্মালম্বী। উত্তরে তিনি বলেছিলেন “চৌদ্দ পুরুষ থেকে”। শুনে আমি কিছুটা হতবাক হয়ে ছিলাম। বলে কি? মহিলা চৌদ্দ পুরুশ থেকে খৃষ্টান!তা হলে তো হযরত ঈসার কাছা কাছি সময়ের খৃষ্টান! উত্তরে আপনার বন্ধু, যিনি আপনার সাথে এক সঙ্গে একই স্কুলে শিক্ষকা করেছেন এবং আপনান বিয়ের ব্যপারে যিনি মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন, সে হরষিত বাবি বলরেন যে আপনার স্ত্রীর পরিবারও তার ঠাকুরতা খেকে খৃষ্টান। তাই স্বাভাবিক।এদেশে ভাত কাপড়ের অভাব পূর্বে ছিলনা যার তাড়নায় মানুশ ধর্মান্তরিত হবে! তা ছাড়া মূল সনাতন ধর্ম থেকে দেব দেবীর পূজা দ্বারা বিকৃত হিন্দু ধর্ম থেকে নিরাকার আল্লাহর পুত্র(?) যীষুর নামে প্রবর্তিত অমূলক ধর্মে পার্থক্য কোথায়?

পুঁজিবাদ, সমাজবাদ, কম্যুনিজম,, রাজতন্ত্র প্রভৃতি তো প্রায় পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে যাচ্ঠেছ। খন্ডিত রাষ্ট্রীয সীমানাও প্রায় বিলুপ্ত হয়ে মুক্তবাজার, এক বিশ্ব, এক পরিবারও ভিসাহীন বিশ্ব ইত্যাদিও দাবি উঠছে। অচীরেই বিশ্ব থেকে খন্ডিত ধর্মসত্বা বিদায় নিয়ে বিশ্ব স্রষ্টার বিশ্ব ধর্মেও সূর্য় উদিত হবে এবং তা সূর্যোদয়ের দিক, পূর্ব থেকে হবে, তাও পূর্ব বাংলা তথা, বাংলাদেশ থেকে হওয়ার ঐশি ইংগিত বইছে।

পৃথিবীর নামসর্বস্ব হলেও তিনটি ঐশি ধর্মালম্বীরা এক বিশ্ব মুক্তিদাতার অপেক্ষার প্রহর গুণছে। সে মহামানবের আর্বিভাব এমন এক ভূ খন্ড তেকে হবে, য়েখাবে তুলনামূলকভাবে বর্ণ ও গোত্র বৈষম্য কম। ইহুদী ও ব্রাম্ভান্যবাদ বিশ্বেও বর্ণ বৈষম্যেও আদি পিতা । তাই বর্ণবাদী ইসরাইল ও ব্রাহ্মন্যবাদী ভারত থেকে তাঁর আর্বিভাব ভাবা যায়না। শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর সংস্কার খেকে বিচ্যুত আরব জাতি আজ ইজুদী-খৃষ্টানদেও তাবেদার আরেক অভিশপ্ত বর্ণবাদী জাত। মধ্যপ্রাচ্যে এরা তিন জাতি পরস্পরের বিরুদ্ধে ত্রিশূল হয়ে পরস্পরের বিনাশের জন্য সুযোগের প্রহর গুণছে।

ইসলামের নামে প্রতারণা করে সৃষ্ট পাকস্তান বিজেদেও গোষ্ঠিদ্বন্দে যেনো স্বীয় মৃত্যুর প্রহর গুণছে। ইরানী-আফগানীরা আর্য-অনার্যেও দ্বন্দেও মতো শিয়াসুন্নীর সংঘাতে লিপ্ত। দূও প্রাচ্যেও মালেশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় সংখ্যাতত্বেও নামধারী মুসলমান হলেও ভুমিপুত্র ও অভূমিপুত্রের বৈষম্যে জর্জরিত্

পৃথিবীতে এক চিলতা বেলা ও পলিভুমি রয়েছে, যেখানে গোত্রবৈষম্য নাই বললেই চলে দারিদ্র আছে কিন্তু গোষ্ঠি দ্বন্দ্ব নেই। হিমালয়ের গা ধোয়া পলি হমে এ ক্ষুদে দেশটির জন্ম। দেশটির নাম বাংলাদেশ। এখানে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি অনন্য। এখানকার জনগোষ্ঠি কখনো অন্যেও উপর রাজ্য বিস্তার করে শোষণ করেনি। শুধু শোষিত ও বঞ্চিত হয়েছে। এখনো হচ্ছে। পূর্বে উপনিবশবাদীদেও দ্বারা শোষিত ও শাসিত হয়েছে। এখন উপনিবেশবাদীদের পরিত্যাক্ত আমলা, কেরাণী, খানসামা ও ধোপা মালীদের নাতী নাতনীদের দ্বারা শেষবারের প্রতারিত ও শোষিত হচ্ছে। অচীরেই এ উপেক্ষিত দারিদ্রপীড়িত দেশ থেকে ইব্রাহীম, মূসা, ঈসা ও মহাম্মদ সঃ গণের আদর্শের পতাকা বাহিদেও মিছিল শুরু ও সূচনা হবে বলে সংকেত বইছে। যেমন অনুর্ববরা ও দারিদ্রের লীলা ভূমি আরব মরু থেকে ইব্রাহীম, মূসা, ঈসা ও মুহাম্মদ স: গণের আদর্শে ও সূর্যোদয় ঘটছে।

নিবারণ বাবু ! আপনি ইহুদীদেও যে শাখার প্রতিনিধিত্ব করছেন , তা মোটেও মানবজাতীর মানবীয গুণাবলীর সহায়ক ধর্ম নয়। পশ্চিমা ইহুদী-খৃষ্টান দুষ্টচক্র তাদেও বস্তুতান্ত্রিক উন্নয়ন ও বিকৃত শিক্ষা দিয়ে মানবজাতিকে ইতরবৃত্তির চরম গহবরে নিক্ষিপ্ত করে হানাহান ও বিশ্বলুটেরা বৃত্তিতে পরিণত করেছে ও করছে। তারা মানবজাতিকে দুটি বিশ্ব মাহাযুদ্ধেও অভিশাপ দান করেছে ।

তৃতীয় মহাযুদ্ধ হতে দেয়া যায়না । ঐ নরপিশাচদের হাতে আনবিক বোমাসহ সকল মরনাস্ত্র রয়েছে।

বিশ্বেও লুণ্ঠিত ধরণের এইড নামের সাহায্য নিয়ে আমাদেও মাঝে অনুপ্রবেশ করছে। মূলে এ সাহায্য ওদেও ভোগবাদেও উচ্ছিষ্ঠ। ওদেও এ উচ্ছিষ্ঠ দিয়ে যে সমস্ত মসজিদ, মন্দিও, সেনাগণ, গীর্জা ও চার্চ হচ্ছে তা সাহায্যেও এইডের আড়ালে এইডস জীবাণু ছড়ানো। ওদেও সাহায্যে মানুষকে পরভূক, পরজীবি ও ভোগবাদী বানিয়ে পরিনামে ঘাতক এইডস জীবাণুর খাদ্যে রূপান্তরিত করতে কালথাবা নিয়ে এগুচ্ছে।

ওরা মানবতার শত্র“, মানবতা ওদেও শত্র“।উভয়ের সহ-অবস্থান অকল্পনীয়। ওদেও আনবিক অস্ত্রেও একমাত্র প্রত্যুত্তর মানবিক অস্ত্র, বা “আণবিক বোমার প্রতিরোধক মানবিক বোমা। এ মানবিক বোমার উপাদান একমাত্র মহাপ্রভু ঈশ্বর , বা আল­াহর ধর্ম, যার রাসূল নূহ, ইব্রাহীম, মূসা , ঈসা ও মহাম্মদ সঃ গণ।

আল­াহর মহান নবীদের নামে যারা অবমাননাকর জঘন্য মিথ্যা লিখেছে, যারা পড়ছে এবং ধর্মের নামে যারা তা প্রচার করছে, তাদেও শিক্ষা ও প্রচার কেন্দ্রে কখেনো মানব সন্তানদের শিক্ষার নামে ধ্বংস যজ্ঞে তুলে দেয়া যায়না ।

জনার নিবারন দাস আসুন বর্ণবাদহীণ বাংলার মাটি , তথা ঢাকার মিরপুর থেকে হযরত ইব্রাহীম, মূসা , ঈসা, ও আখেরি নবী মুহাম্মদ সঃ গণের পুতপবিত্র আদর্শে ও বিশ্বআন্দোলনের সূচণা করি, যা আরমাগেড্ডন(Armageddon) হয়ে বিশ্বেও শয়তানী শক্তির বিলুপ্তি ঘটাবে।

জায়ানবাদী- ইহুদী খৃষ্টানরা বলে, ওড হযরত ইব্রাতহীম যেহেতু দাসীর পেটে তাঁর বড় ছেলে ইসমাঈল আঃ কে জন্ম দিয়েছেন্ এবং সে ইসামইল এর বংশ থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর জন্ম তাই মুহাম্মদ সঃ নবী হওয়ার যোগ্য ছিলেনাএ বং নবও ছিলেননা। তাঁর নুওত দাবীই মিথ্যা। কারণ তিনি নিম্ন বর্ণেও অকুলীন! নবীকুলের আদিপিতা ইব্রাহীম আঃ পিতা হওয়া ওত্বেও যদি হযরত ইসাইল ও মুহাম্মদ সঃ মায়ের কারণে অকুলীন ও নিম্ন হন তাহলে আপনি ও আপনারা কারা যারা পিতৃমাতৃ উভয় কুলেই নিম্ন বর্ণেও হিন্দু, সাঁওতাল ও অন্যান তথা কথিত নিম্ন জাত থেকে খৃষ্টান হয়েছেন ও হচ্ছেন? আপনারাতো খৃষ্টান হতে পারেননা। কারণ খৃষ্টান হবে তো উচ্চবর্ণেও রক্তের মানুষেরা।

আমার এ পত্র পেয়ে আসুন, আমরা সকল সভ্য মানুষেরা একত্র হয়ে ঘোষণা করি যে, নবী ও রাসুল গনের বিরুদ্ধে আইবেলে যা লেখা আছে তা সব মিথ্যা কথাএবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।আমরা মানব সমাজ থেকে এ অপবাদ ও অপবাদিদের উৎখাত করে বিশ্বে মানব ধর্ম পৃতিষ্ঠা করবো। আর যদি আপনি একমত না হন তা হলেআপনাকে জন সমক্ষে ঘোষণা করতে হবে যে, আপনি ও আপনারা ঐ সমস্ত জঘন্য অপবাদে বিশ্বাসী, এবং তা আপনাদেও ধর্মেও মূলনীতি ও ভিত। তখন মানব বিবেক আপনাদের বিচার করবে।

অবশেষে আমার আকুল আবেদন আসুন, আমরা বিশ্বকে এক আল­াহ ও তাঁর নবীদের আদর্শে মানবতার শিক্ষ ও দীক্ষা দিয়ে পশিচমা ঘাতক সভ্যতা থেকে বিশ্বকে রক্ষা করে শান্তি ও মুক্তির পথ প্রদর্শন করি।

-ইমামুদ্দীন মুহাম্মদ ত্বোয়াহা বিন হাবীব


Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.