শিয়া, সুন্নী এবং প্রকৃত মুসলিমদের ধর্মীয় বিশ্বাস

★শিয়াদের ধর্ম বিশ্বাস হলো★
———————————
★ক্বোরেশ বংশের বনু হাশেম তথা কাবা ঘরে স্থাপিত ৩৬০ দেবদেবীর ঠাকুর হাশেমী আব্দুল মোত্তালেব, আবু তালেব ও তার পুত্র আলীর বংশ থেকেই শুধু মুসলিম জাতির নেতা বা ইমাম হতে হবে।
★ আখেরী নবী মুহাম্মদ সাঃ কে নামকাওয়াস্তে রেখে তারা আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসেনকে দিয়ে এক পঞ্চচক্র বা “পাঞ্জেতন” সৃষ্টি করে তাতে তারা বিশ্বাসী।
★ এ পাঞ্জেতনের বহির্ভূত সকল ইমামত ও নেতৃত্বকে শিয়ারা অবৈধ বলে বিশ্বাস করে। এ শিয়া ইমামত আল্লাহ কর্তৃক পৃথিবী সৃষ্টি থেকে নিয়োগকৃত। এ ইমামরা সবাই নিষ্পাপ।
★ এ শিয়া মতবাদ ও তার ইমামতের বাইরে অতীতে, বর্তমানে ও ভবিষ্যতে যেসব নেতৃত্ব ছিল, আছে এবং হবে, সব অবৈধ এবং তাদের অনুসারীরা বিপথগামী।
★ এদের বারো ইমামের শেষজন বিগত বারো তেরোশ বছর থেকে আত্নগোপন করে আছে। ক্বোরেশ ও ফাতেমার বংশের সে ব্যক্তিই আত্নপ্রকাশ করে ইমাম মাহ্দী হবে। শিয়ারা তার আবির্ভাবের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।

★সুন্নীদের ধর্ম বিশ্বাস হলো★
——————————-
★ যেহেতু মুহাম্মাদ সাঃ আরব দেশে ও ক্বোরেশ বংশে জন্মেছেন, তাই তিনি আরবী ও ক্বোরেশী। প্রথমে তিনি আরবদের নবী এবং পরে তিনি অন্যান্যদের নবী। তাঁকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি হতো না।
★ রাসূল সাঃ এর পর সকল বিশ্ব নেতা বা ইমাম শুধুমাত্র ক্বোরেশ গোত্র থেকে হতে হবে। “আল আইম্মাতু মিন ক্বোরেশ” তাদের ইমামত ও নেতৃত্বের মূলনীতি।
★ রাসূল সাঃ এর মৃত্যুর পর সাহাবীদের আল্লাহ ও রাসূলের মতো মানতে হবে। তাদের ভুল ও অন্যায়ের পর্যালোচনা করা যাবে না। বিশেষ করে ক্বোরেশ বংশের চার খলিফা ও তাদের ক্বোরেশ বংশোদ্ভুত বানোয়াট “আশারায়ে মোবাশ্শারা” সম্পর্কে কিছুই বলা যাবে না।
★ রাসূল সাঃ এর পর ক্বোরেশী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করে তারা মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করে শিয়া-সুন্নীর মতো অসংখ্য ফেরকার সৃষ্টি করে। তারা নিজেদের সুন্নী ফেরকা ব্যতীত অন্য সবাইকে বিপথগামী মনে করে।
★ তারা ইয়াহুদীদের মতো গোত্রবাদী। কোন অনারবকে তারা মুসলিম উম্মার ইমাম হওয়ার অযোগ্য মনে করে। তাই ইমাম মাহদীও ক্বোরেশ বংশীয় আরব হতে হবে বলে তাদের বিশ্বাস।

down icon এর ছবির ফলাফল

বিশ্ব মুসলিম, মুসলিম উম্মাহর পরিচয়ঃ যারা বলে,
———————————
★ আমরা এক আল্লাহে বিশ্বাসী মুসলিম। সকল নবীদের সমানভাবে মানি। তাঁদের মাঝে কোনো পার্থক্য করি না। নবীদের নিচে আমরা কারো অনুসরণ করি না। আমাদের ঈমান, “তাওহীদের উর্ধ্বে কোনো ঈমান নেই” “রিসালাতের নীচে কোনো দ্বীন ও শরীয়া নেই”।
★ হযরত ইব্রাহিম আঃ যেরুপ ইয়াহুদী বা খ্রিষ্টান ছিলেন না, শেষ নবী মুহাম্মাদ সাঃ সেরুপ শিয়া বা সুন্নি ছিলেন না।
★ আমরা হযরত নূহ, ইব্রাহিম, মূসা, ঈসা ও মুহাম্মাদ সাঃদের মতো শুধু মুসলিম। আমরা যেরুপ ইয়াহুদী বা খ্রিস্টান নই, সেরুপ আমরা সুন্নি বা শিয়া নই।
★ বিশ্বের সকল মানুষকে আমরা নবীদের অনুসরণে মুসলিম হওয়ার ডাক দিচ্ছি। এ আহ্বানই হলো এক বিশ্ব, এক মানব জাতি ও এক বিশ্ব মানব পরিবার গড়ার, যাতে ভূমন্ডল হবে আদম সন্তানের এক গুচ্ছ পল্লী।
★ এ বিশ্ব ঐকের চুড়ান্ত নেতৃত্ব যে ইমাম দিবেন, তিনি আদম সন্তান ও নবীদের অনুসারী হবেন। বর্ণ ও গোত্রবাদহীন তাক্বওয়া তার বৈশিষ্ট হবে। আরব অনারব সকল সংর্কীণতার উর্ধ্বে তার অবস্থান হবে।


Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.