একটি বাড়ি। সে বাড়ির বাসিন্দাগণ হচ্ছেন- সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ(সঃ), মা খাদিজা(রাঃ), তাঁদের সন্তানগণ, হযরত বারাকা(রাঃ), হযরত যায়েদ বিন হারিসা(রাঃ), হযরত আলী ইবনে আবু তালিব(রাঃ), হযরত আয়মান(রাঃ), হযরত উসামা(রাঃ)।
এ বাড়ির বাসিন্দাগণ(নবী সঃ ব্যতীত) সম্পর্কে খুব ছোট্ট করে বর্ণনা দিই-
১) মা খাদিজা(রাঃ): “আল্লাহ তাঁর চেয়ে উত্তম নারী আমাকে দান করেননি।”
এছাড়াও একবার এ কথা বলেছিলেন, “আল্লাহ আমার অন্তরে তাঁর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে দিয়েছেন।”
২) বারাকা(রাঃ): এক মহীয়সী নারী যিনি পৃথিবীর বুকে সর্ব প্রথম নবী(সঃ) কে দেখেছেন, স্পর্শ করেছেন, তাঁকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছেন। তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি নবী(সঃ) এর সমগ্র জীবনে তাঁর পাশে ছিলেন। নবী(সঃ) তাঁকে ‘মা’ বলে ডাকতেন। নবী(সঃ) তাঁর সম্পর্কে বলেন, ” আমার মায়ের পর আমার দ্বিতীয় মা; আমার পরিবারের অবশিষ্টাংশ।”
৩) যায়দ বিন হারিসা(রাঃ): নবী(সঃ) তাঁকে পালক পুত্র রুপে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি তাঁকে অত্যধিক স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন। তিনি একমাত্র সৌভাগ্যবান সাহাবী যার নাম পবিত্র কুরআনে উল্লিখিত হয়েছে এবং আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন, আল্লাহ এবং নবী(সঃ) তাঁর(যায়দ) প্রতি সন্তুষ্ট।
৪) আলী(রাঃ): রাসূল(সঃ) এর চাচাতো ভাই। প্রথম ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম। নবীজি(স:) তাঁর প্রিয় কন্যা ফাতেমা(রাঃ)-কে তাঁর সাথে বিবাহ দেন। নবী(সঃ) হিজরতের সময় জীবনের ঝুকি নিয়ে নবীজির(সঃ) বিছানায় শয়ন করেন। নবী(সঃ) তাঁকে ‘জ্ঞানের দরজা’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি রাসূল(সঃ) এর প্রিয় দুই নাতি ইমাম হাসান ও হুসাইন(রাঃ) এর জনক। [তারপরও তিনি পরিত্যাজ্য! বিস্তারিত এ হলো ইসলাম বই এ]
৫) আয়মান (রাঃ): বারাকা(রাঃ) এর পুত্র। নবীগৃহে বেড়ে উঠেন। হুনায়েনের যুদ্ধে যখন সাহাবী সকল পলায়ন করছিলেন, তখন যে গুটিকতক মুমিমগণ রাসূল(সঃ) এর পাশে দৃঢ় পদে অধিষ্ঠিত ছিল তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তিনি হুনায়েনের যুদ্ধে শহীদ হন।
৬)উসামা(রাঃ): রাসূল(সঃ) এর প্রিয় যায়দ(রাঃ) ও মাতৃতুল্য বারাকা(রাঃ) এর সন্তান উসামা(রাঃ)। রাসূল(সঃ) এর স্নেহ-ভালোবাসায় বেড়ে উঠেছেন। তাঁকে ‘হিব্বু ইবনুল হিব্ব’ বলা হয়। মাত্র উনিশ কি বিশ বছরে পদার্পণের পর রাসূল(সঃ) তাঁর মৃত্যুর পূর্ববর্তী সময়ে বয়োজ্যেষ্ঠ আনসার, মুহাজির সকল সাহাবায়ে কেরামগণের ওপর তাঁকে আন্তর্জাতিক সমরাভিযানের আমির নিয়োগ করে যান।
ধরার বুকে, মরুর বুকে এক খণ্ড স্বর্গোদ্যান ♥