করোনাভাইরাসের প্রকোপে হঠাৎ চোখের সামনে অনেক অন্যায় দেখতে পাচ্ছি স্পষ্টভাবে, পুরোনো অন্যায়ের বীজ থেকে মহীরুহ হবার কিছু দৃষ্টান্ত। কষ্ট লাগে, খারাপ লাগে, অসহায়ও লাগে। কিন্তু মনে রাখা উচিত কি নয় যে এত এত সৃষ্টি, ধ্বংস, সভ্যতা-সংস্কৃতি, রাজত্ব-বিচার, শক্তি ও প্রতাপ এগুলো একদমই মানুষের ব্যক্তি যোগ্যতা না। একদমই ‘কিছু সংখ্যক’ লোকেরও অর্জন না। কারোই কোনো শক্তি নাই, কারোই কোনো ‘যোগ্যতা’ দিয়ে কিছু ঘটে যায় না।
জীবনে দেখলাম এত অসাধারণ মানুষগুলো, কী অবহেলায় খরচ হয়ে গেলো। এত নিকৃষ্ট মানুষগুলো, কত ক্ষমতা-অর্থ কব্জা করে দাপুটে সময় কাটালো। অথচ, আগের মানুষদের একজনের তুলনায় এরা লক্ষ-কোটিজন একত্রিত হলেও কোন মূল্যই নেই। এই বিচারও দেখার সময় এই জগত না, এর পরের একটা জগত আছে, সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার হয়। আমরা হয়ত চোখে সেটাই দেখবো, যেগুলা আপাত ক্ষমতা, ষড়যন্ত্র, লড়াই দিয়ে লোকে জিতবে। কিন্তু এরাও খুব খুব অল্প সময়েই শেষ হয়ে যাবে।
কে থাকে দীর্ঘ সময়? কেউ না। হয়ত আমরা চাই, আমাদের চাওয়ার মতন করে ‘অন্যায়ের ধ্বংস’ হোক। কিন্তু আল্লাহ ত সব কিছুর একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছেন। তিনিই পরম ক্ষমতাবান। আর কেউ নেই। এই মহামারীর সময়ে অসহায়ত্বের এই গূঢ়তম উপলব্ধি হয়ত আমাদের প্রতি রবের পক্ষ থেকে উপহার। দিনশেষে যেকোনো উপায়েই হোক, আমরা মাটিতেই মিশে যাবো। যে যা করবো, তা সাথে নিয়ে যাবো…
১৮ এপ্রিল, ২০২০
মাসাবা, বাংলাদেশ।